চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

সীতাকুণ্ডে কোলের শিশু জীবন্ত দগ্ধ

সীতাকুণ্ড সংবাদদাতা

২৫ জানুয়ারি, ২০২০ | ১১:২৫ অপরাহ্ণ

সীতাকুণ্ডে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ৬ মাস বয়সী এক শিশু কন্যা। পিতা-মাতার অনুপস্থিতিতে নিহত মেয়েটির ভাই-বোনরা আগুন নিয়ে খেলতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। আজ শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি জঙ্গল সলিমপুর ছিন্নমূল বস্তির বৌদ্ধ মন্দির সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশুর নাম সুপ্রভা বড়ুয়া (৬ মাস)। সে ওমান প্রবাসী স্বপন বড়ুয়া ও সুমি বড়ুয়ার কন্যা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সীতাকুণ্ডের ১০ নম্বর সলিমপুর ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি জনপদ জঙ্গল সলিমপুর ছিন্নমূল ৪ নম্বর সমাজের অন্তর্গত বৌদ্ধ মন্দিরের কাছাকাছি একটি মাত্র বৌদ্ধ পরিবার বসবাস করে। টিন ও বেড়ায় তৈরি ওই বাড়ির মালিক স্বপন বড়ুয়া ওমান প্রবাসী। তার স্ত্রী সুমি বড়ুয়া চার শিশু সন্তান নিয়ে ঘরে বসবাস করতেন। আজ বেলা পৌনে ১১টার দিকে সুমি তার ছেলে-মেয়েদের ঘরে রেখে পাহাড় থেকে ব্যক্তিগত কাজ সারতে নিচে নামেন। এ সময় ঘরে থাকা তার তিন ছেলে-মেয়ে রান্না ঘরের আগুন নিয়ে খেলতে থাকে। কোনভাবে এই আগুন তাদের হাত থেকে ঘরে লেগে গেলে তা ছড়িয়ে পড়ে। এতে ভয় পেয়ে ওই তিন ছেলে মেয়ে দৌড়ে ঘরের বাইরে চলে গেলেও ৬ মাস বয়সী শিশুটি ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় পুড়ে মারা যায়।

জঙ্গল সলিমপুর (ছিন্নমূল) পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এস.আই মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সুমি বড়ুয়ার চার ছেলে মেয়ে। এদের মধ্যে একজন ছেলে এবং অন্যরা মেয়ে। বড় ছেলেটির বয়স ৭, অন্য মেয়েদের বয়স যথাক্রমে ৫, ৩ বছর ও ৬ মাস। মা সুমি পাহাড় থেকে নিচে নামার সময় ৬ মাস বয়সী মেয়েটি ঘুমিয়ে ছিলো। অন্য ছেলেমেয়েরা চুলোর আগুন নিয়ে খেলছিলো। এতেই কোনভাবে বেড়ার ঘরে আগুন লেগে যায়। এ সময় বড় তিনজনই ঘর থেকে বের হয়ে যায়। কিন্তু ছোট মেয়েটি ঘুমন্ত অবস্থায় জীবন্ত পুড়ে মারা যায়।

তিনি বলেন, ঘটনার ১৫ মিনিট পর আমি খবর পাই। তবে উঁচু ঐ পাহাড়ে উঠতে আরো ২০-২৫ মিনিট সময় লাগে। সেখানে একমাত্র বৌদ্ধ পরিবারটি ছাড়া আর কোন পরিবার থাকে না। পরে শুনেছি আগুন দেখে নিচে বসবাসকারী স্থানীয়রা নেভানোর জন্য ছুটে গেলেও উঁচু পাহাড়ে যেতে সময় লাগায় এবং পর্যাপ্ত পানি না পাওয়ায় ঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

পূর্বকোণ/সৌমিত্র-আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট