চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

ভোটের জোর প্রস্তুতি আ. লীগের

ইফতেখারুল ইসলাম

২৬ অক্টোবর, ২০২০ | ১:১৩ অপরাহ্ণ

আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের জোরালো প্রস্তুতি নিচ্ছে নগর আওয়ামী লীগ। প্রতিদিন কোন না কোন ইউনিট আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সভা হচ্ছে। তৈরি করা হচ্ছে ইউনিট পর্যায়ের সক্রিয় এবং নিষ্ক্রিয় নেতাকর্মীদের তালিকা। নির্বাচনী এজেন্ট এবং সেন্টার কমিটিও ঢেলে সাজানো হচ্ছে। আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে নগর আওয়ামী লীগের কাছে নির্বাচনী এজেন্টদের তালিকা জমা দিতে ইউনিটগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে। নেতৃবৃন্দ জানান, করোনার কারণে যে বাড়তি সময় তারা পেয়েছেন তা নির্বাচনী প্রস্তুতিতে ভালভাবেই কাজে লাগাচ্ছেন তারা।

জানতে চাইলে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন পূর্বকোণকে বলেন, মূলত সাংগঠনিক কার্যক্রম বেগবান করার লক্ষ্যে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে দক্ষতার মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করছেন, তার অর্জনগুলো জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে ইউনিট পর্যায়ে কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। একইসাথে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র যে অপপ্রচার চালিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে তা যেন আর করতে না পারে সেই লক্ষ্যে সঠিক তথ্য তাদের কাছে পৌঁছানো। আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। যেহেতু দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচন হয়েছে, আমাদের এখানেও নিশ্চয় নির্বাচন হবে। যেহেতু করোনার কারণে আমরা বাড়তি সময় পেয়েছি তা কাজে লাগাচ্ছি। তৃণমূল পর্যায়ে এজেন্ট এবং সেন্টার কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছি। অতীতে দেখা গেছে ভোটের আগের রাতে এজেন্ট এবং সেন্টার কমিটির তালিকা এসেছে। তখন যাচাই করার সুযোগও হয় না। অনেক বিতর্কিত ব্যক্তি এমনকি বিরোধী পক্ষের লোকজনও কমিটিতে প্রবেশের সুযোগ পেয়ে যায়। এবার সেই সুযোগ আর থাকছে না।

নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ পূর্বকোণকে বলেন, ইউনিট এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে দীর্ঘ নেতৃত্ব বন্ধ্যাত্বের কারণে কার্যক্রম অনেকটা ঝিমিয়ে পড়েছে। অতীতে নাজেল করে কমিটি চাপিয়ে দেয়ার প্রেক্ষিতে তৃণমূলের কর্মীদের সংগঠন করার আগ্রহও কমে গেছে। ইউনিট পর্যায়ে সভা করার মাধ্যমে কমিটির কতজন সচল আছে, কতজন তৎপর আছে, এবং নিষ্ক্রিয় কতজন তার একটা ডাটাবেইস তৈরি করা হচ্ছে। একটি ইউনিটে ৩৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি থাকে। কোন কমিটিতেই শতভাগ সদস্য নেই। কোন কোন কমিটির বয়স ২৩ বছর পর্যন্ত আছে। যেসব পদ শূন্য্য হয়ে গেছে তা এখন পূরণের চিন্তা করছি না।

তিনি বলেন, তাদের ধারণা, সিটি কর্পোরেশনের বর্তমান প্রশাসকের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই নির্বাচন হবে। এই ধারণার কারণ হল দেশের বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচন হচ্ছে। তাই এজেন্ট এবং সেন্টার কমিটি জমা দেয়ার নির্দেশনা দিয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। তারা যেসব কমিটি জমা দিচ্ছে এবং দেবে তা যাচাই করা হবে। সেখানে তৃণমূলের লোকজন আছে কিনা দেখা হবে। অতীতে দেখা গেছে, বিশাল একটা সেন্টার কমিটি। কিন্তু ভোটের দিন কেউ নেই। দিনশেষে ভোটও নেই। তাই এবার এবিষয়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। তৃণমূলের সভা থেকে যে ডাটাবেইস তৈরি করা হচ্ছে সেই তালিকার সাথে সেন্টার কমিটির তালিকা মিলিয়ে দেখা হবে। তৃণমূলের কর্মীদের অবশ্যই সেন্টার কমিটিতে রাখতে হবে। আর যেসব ইউনিটে দ্বন্দ্ব এবং সমস্যা আছে তা লিখিত আকারে জানানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত ৪৮টি ইউনিটের সভা হয়েছে। তবে নির্বাচনের পূর্বে কোন সম্মেলন হবে না। পদ-পদবি নিয়েও সিদ্ধান্ত হবে না। নির্বাচনের পরে ইউনিট সম্মেলন হবে। পর্যায়ক্রমে ওয়ার্ড এবং থানা পর্যায়েও হবে।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট